সিলেট প্রতিনিধি //

ভারতীয় অবৈধ চিনি পাচার কান্ডে আটক হয়ে কারাভোগ করছেন সিলেটের স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাক পত্রিকার জৈন্তাপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলামের ছোট ভাই সহ দুই শীর্ষ চোরাকারবারি।

এর আগে কথিত ওই নুরুলের বিরুদ্ধেও অনিয়ম দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ ওঠে। তিনি নিজেকে জাতির বিবেক পরিচয় দিয়ে ছোট ভাইকে প্রকাশ্যে দিবালোকে চোরাচালানে সহযোগিতা করে আসছিলেন। এবার তার ছোট ভাই আটকের পর জৈন্তাপুরে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

চোরাকারবারি, ওসি-ইউএনও এর চাঁদার টাকায় প্রেসক্লাবে ঝুলছে এসি

স্থানীয় সুত্র জানায়, তিনি ভারতীয় গরু, চিনি, মাদক, প্রসাধনীসহ বিভিন্ন চোরাচালান চক্রের হয়ে কাজ করেন। এসব চোরাকারবারিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন বড়ো অংকের চাঁদা। ইতোমধ্যে তিনি নিজে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। এবার তার আপন ভাইও সংবাদ পাঠকদের খোরাক হলেন।

নুরুল ইসলাম সাংবাদিকতার শুরুতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি লিখে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ২-৩ শ’ টাকা হাতিয়ে নিতেন। সেই নুরুল ইসলাম এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ! এর নেপথ্যে চোরাকারবার বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে।

তিনি জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব ও সিলেটের ডাক পত্রিকাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এ সমস্ত অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও সংশ্লিষ্ট সুত্র নিশ্চিত করেছে। অবশেষে তার আসল মুখোশ বেরিয়ে এলো জনসম্মুখে। তাও আবার আপন ছোট ভাই পুলিশের হাতে আটকের পর।

শাহপরান থানা সুত্রে জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে দাসপাড়াস্থ মুসলিম স্কুলের পাশে মেসার্স ইসলাম ব্রাদার্সের সম্মুখে চেকপোস্ট বসানো হয়।

এসময় পুলিশ একটি ট্রাক ঢাকা (মেট্রো-ট-১৮-১০৫৫) থামিয়ে তল্লাসী করে পাথর চাপা দিয়ে রাখা ভারতীয় ৩০৮ বস্তা চিনি উদ্ধার করে ও ২ ব্যাক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটককৃত চিনির মুল্য আঠার লক্ষ এগার হাজার চল্লিশ টাকা।

এর মধ্যে একজন হলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাট ডুপি গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে ও জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নুরুল ইসলামের আপন ছোট ভাই মো. কবির আহমেদ (৩২) অপরজন একই গ্রামের মোঃ চান মিয়ার ছেলে মোঃ শাকিল আহমেদ (১৯)।

তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, মালামালের মালিক অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় শাহপরাণ (রহঃ) থানায় এফআইআর নং-১১, তারিখ-১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫; ধারা- 25B(1)(b)/25D The Special Powers Act, 1974 মামলা দায়ের করা হয়।

পরে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে নুরুল ইসলামের ভাই কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

নিয়মিত সংবাদের সাথে যুক্ত থাকুন।