অনলাইন ডেস্ক //
বিগত ৩ মার্চ ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে প্রবাসীর বাসা দখলের পায়তারা, অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি শিরোনামে যে সংবাদটি বিভিন্ন অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি জামাল উদ্দিন একজন প্রবাসী হিসেবে এই মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, অতীতের ন্যায় ভুল তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে জনৈক ব্যক্তি আফসার খান সাদেক। তিনি পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও একই পথ অবলম্বন করেছিলেন। তিনি আমাকে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করতে আইন শৃংখলা বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে তার আপন ভাই আক্তার হোসেনকে দিয়েও অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এছাড়াও বিগত ২৪ ফেব্রুয়ারি তার বোন আলেয়া খানমকে দিয়েও একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর।
তিনি বলেন, সাবেক যুবলীগ নেতা মুকিত আমার বাসাকে তার নিজস্ব বাসা হিসেবে দাবি করে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে মর্মে চালিয়ে দিয়েছেন। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সিলেটে আমার সম্পত্তি দেখার মতো কেউ নেই, সেই সুবাদে আফসার খান সাদেক আমার সম্পত্তি জবর দখলে নেয়ার পায়তারায় লিপ্ত। বিষয়টি আমি আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করলেও অদৃশ্য কারণে আমলে নেয়নি আইন প্রয়োগকারী কোনো সংস্থা। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এসেও আওয়ামী লীগের এই নেতা বিভিন্ন মানুষকে প্রবাসে বসে নিজের লোকদের দিয়ে হয়রানী করা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি তার প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি সিলেট নগরীর কুমাড় পাড়া ঝর্নার পাড় এলাকার ঝর্না ৪২নং- আমার বাসা ইতিমধ্যে দখলে নেওয়ার অপচেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রশাসনের একজন অসাধু কর্মকর্তার সাথে আফসার খান সাদেকের ভাতিজা যুবলীগ নেতা মাহবুব লোহার পাইপ হাতে নিয়ে আমার বাসায় গিয়ে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে আফসার খান সাদেক, ওই বাসা দখলে নিয়েছে বলে বিভিন্ন লোকদের দিয়ে অভিযোগ করেছিলো। বর্তমান ইউনূস সরকারের আমলেও এসকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমার বাসায় জেলা যুবলীগ নেতা এম আব্দুল মুকিত ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছে। দেশে আমাদের কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। এতকিছুর পরেও আমার বাসা দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। আমি প্রবাসে থাকার সরলতার সুযোগ নিয়ে আফসার খান মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি বস্তনিষ্ট সংবাদ প্রকাশ না করিয়ে জনসম্মূখে বিষয়টিকে ভিন্ন আলোকে তুলে ধরছে যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এসময় তিনি সকল সংবাদকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলেন, অদূর ভবিষ্যতে এরকম ভুল তথ্য প্রকাশ না করে সঠিক তথ্য যাচাই বাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করার, অন্যথায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।
নিয়মিত সংবাদের সাথে যুক্ত থাকুন, মতামত জানান।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.