• ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

আরব নেতাদের গাজা পুনর্গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করল হোয়াইট হাউস

admin
প্রকাশিত ০৫ মার্চ, বুধবার, ২০২৫ ১৬:১৬:৩৭
আরব নেতাদের গাজা পুনর্গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করল হোয়াইট হাউস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক //


গাজার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব নেতাদের গাজা পুনর্গঠনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে হোয়াইট হাউস।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ এক বিবৃতিতে আনাদোলুকে জানান, ‘বর্তমান প্রস্তাবটি গাজার বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে না। গাজা এখন বসবাসের অনুপযোগী, এবং ধ্বংসস্তূপ ও অবিস্ফোরিত অস্ত্রে আচ্ছাদিত একটি অঞ্চলে মানবিকভাবে জীবন যাপন সম্ভব নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড) ট্রাম্প গাজাকে হামাস মুক্ত রেখে পুনর্গঠনের পরিকল্পনায় অবিচল রয়েছেন। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে আরও আলোচনা করতে প্রস্তুত।’

আরব সম্মেলন ও মিশরের পুনর্গঠন পরিকল্পনা

মঙ্গলবার কায়রোতে এক জরুরি আরব সম্মেলনে মিশরের পরিকল্পনাকে অনুমোদন দেওয়া হয়, যাতে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত না করেই পুনর্গঠন সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

এই পরিকল্পনার আওতায়, মিশর গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পাশাপাশি দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ ও ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকা পুনর্গঠনের কাজ করবে। গাজার পুনর্গঠন তদারকি ও পরিচালনার জন্য মিশর একটি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে, যা জাতিসংঘ ও আরব লিগের সমন্বয়ে পরিচালিত হবে।

মিশর ৫৩ বিলিয়ন মূল্যের পাঁচ বছরের পুনর্গঠন পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা গাজার অবরুদ্ধ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। একটি ডকুমেন্টে দেখা গেছে, ধ্বংসাবশেষ অপসারণ এবং প্রায় ৬০,০০০ আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের পুনর্নির্মাণে প্রয়োজন ৩ বিলিয়ন ডলার এবং ছয় মাসের সময়।

পরিকল্পনার অধীনে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ মিলিয়ন মানুষের বসবাসের জন্য নতুন ঘর তৈরি হবে, সঙ্গে বিমানবন্দর, বন্দর, শিল্প এলাকা, হোটেল ও পার্কও নির্মাণ হবে। পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে অন্তর্বর্তীকালীন শাসন ব্যবস্থা, নিরাপত্তা এবং দুই রাষ্ট্র সমাধানের দৃষ্টিভঙ্গি রক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনা

এর আগে, ট্রাম্প গাজা দখল করে একে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা’ বানানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের কথা বললেও, আরব বিশ্ব ও অন্যান্য বহু দেশ এই পরিকল্পনাকে জাতিগত নিধনের শামিল বলে অভিহিত করেছে এবং প্রত্যাখ্যান করেছে।

মিশরের নতুন পরিকল্পনা এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপস্থিতি বজায় রেখে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, হোয়াইট হাউসের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে ওয়াশিংটন এখনো এই পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন দিচ্ছে না।

মতামত জানান।