
আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগরের উত্তরে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
রোববার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি বাহিনী জানিয়েছে, ক্রুজ মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করে তারা মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষটি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলেছে। এর ফলে মার্কিন বাহিনী নতুন করে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইয়েমেন সরকার ও জাতির অবিচল সমর্থন অব্যাহত থাকবে। যতক্ষণ না গাজায় আগ্রাসন বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়, ততক্ষণ ইয়েমেনি বাহিনী প্রতিশোধমূলক অভিযান অব্যাহত রাখবে’।
এদিকে স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ইয়েমেনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সাবা জানিয়েছে, রোববার ভোরে হুদায়দা প্রদেশের কামারান দ্বীপে মার্কিন বাহিনী পাঁচটি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ঈদুল ফিতরের সমাবেশে হামলার অভিযোগ
আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন যে, একটি গোপন নৌ-অভিযানের পরিকল্পনার জন্য ইয়েমেনি কমান্ডারদের বৈঠক লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র আক্রমণ চালিয়েছে।
তবে একটি সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা সাবা জানিয়েছে, ট্রাম্প যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন, সেটি ছিল ঈদুল ফিতরের এক সাধারণ জনসমাবেশ। যেটি হুদায়দা প্রদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে কোনো সামরিক বাহিনীর সংযোগ ছিল না।
সূত্রটি আরও বলেছে, ‘এটি একটি মার্কিন অপরাধ। এই হামলায় ডজনখানেক মানুষ হতাহত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে যে, ইয়েমেনে আমেরিকার আগ্রাসন ব্যর্থ ও পরাজয়ের মুখে পড়েছে। তবে গাজায় আমেরিকা-ইসরাইল গণহত্যা ও দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে’। সূত্র: ইরনা
মতামত ব্যক্ত করুন।