• ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ইসরাইলি বাহিনীর ঘৃণ্য গণহত্যার বিরুদ্ধে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের বিক্ষোভ

admin
প্রকাশিত ১১ এপ্রিল, শুক্রবার, ২০২৫ ২১:০০:৩৭
ইসরাইলি বাহিনীর ঘৃণ্য গণহত্যার বিরুদ্ধে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের বিক্ষোভ

ঢাকা //


নির্যাতিত মজলুম মুসলমানদের জাতিগত নিপীড়ন থেকে রক্ষায় ফিলিস্তিন, আরাকান ও কাশ্মীরকে স্বাধীন করার দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি যোগ দেন।

তারা ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ফ্রি ফ্রি আরাকান’, ‘ফ্রি ফ্রি কাশ্মীর’, ‘বিশ্ববাসী এক হ ‘, ‘গাজা দখল রুখে দাও’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হও’, লড়াই করো’, ‘ইসরাইলের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ভারতের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘মিয়ানমারের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভে অংশ নেন যুগ্ম আহবায়ক সাইয়েদ কুতুব, সহকারী সদস্য সচিব আব্দুস সালাম ও গালীব ইহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তোফায়েল আহমেদ ও ওয়াসিম আহমদ; বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহবায়ক আবদুল ওয়াহেদ, সদস্য সচিব ফজলুর রহমান, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহবায়ক গোলাম নূর শাফায়েতুল্লাহ ও সহকারী সদস্য সচিব ফারজায়ান আহসান কৃতিত্ব প্রমুখ।

বিক্ষোভে মোহাম্মদ শামসুদ্দিন বলেন, আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের মুসলমানরা গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর ঘৃণ্য গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। আমরা সবাই দাবি জানাচ্ছি, মজলুম ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় অবিলম্বে গাজায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ইসরাইলি সরকার ও সেনা সদস্যদের বিচার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের মজলুমদের পাশাপাশি আমাদের এ অঞ্চলের দুই মজলুম মুসলিম জাতি ভারতের দখলকৃত কাশ্মীরের মুসলমানদের ও মিয়ানমারের দখলকৃত আরাকানের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিপীড়নের প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার আমাদের প্রতিবেশী মুসলিম ভাইদের রক্ষায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামে নিয়মিত তৎপরতা চালাবে।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের এ সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বিশ্ববাসীকে ইসরাইলি মালিকানাধীন ও ইসরাইল সমর্থক সব ব্র্যান্ডের পণ্য বর্জন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসরাইলি পণ্য কিনলে সেই টাকা দিয়ে বোমা বানিয়ে তারা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যা করে। তাই ইসরাইলি পণ্য বর্জন চালিয়ে যেতে হবে।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘ দিন নিরবতা পালন করছিল। তবে জুলাই বিপ্লবে সম্পৃক্ত ছাত্রজনতা ১৬ ডিসেম্বর দল গঠনের দুই মাসের মাথায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নিরবতার অবসান ঘটায়। আমাদের দল গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ আয়োজন করে ঘোষণা দিয়েছিল ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনকে ভুলে যাবে না বরং প্রতি শুক্রবার ফিলিস্তিনের জন্য ছাত্রজনতা বিক্ষোভ করবে’। আলহামদুলিল্লাহ এখন বিএনপি-জামায়াতসহ গোটা দেশ ফিলিস্তিনের জন্য সরব হয়েছে।

তিনি বলেন, ইসরাইলকে অবৈধ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরাইল’ পুনর্মুদ্রিত করতে আমরা ১৫ ফেবরুয়ারি থেকে এক মাস টানা আন্দোলনে করেছি। এরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন ‘এক্সেপ্ট ইসরাইল’ পুনর্মুদ্রণের বিষয়ে তিনি ইতিবাচক। কিন্তু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্যোগ না নেওয়ায় এখনো আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। এ অবস্থায় আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঘিরে কঠোর আন্দোলনের উদ্যোগ নেব।

জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের এই নেতা বলেন, আমরা এক দুই দিন মিছিল করে থেমে যাব না। বরং ফিলিস্তিন মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের প্রতি শুক্রবারের বিক্ষোভ চলমান থাকবে। আগামী দিনে সব মহানগর, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এ কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

মতামত ব্যক্ত করুন।