• ১৩ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে দুই সাংবাদিককে হয়রানীর অভিযোগ, প্রতিকার দাবি

admin
প্রকাশিত ১২ এপ্রিল, শনিবার, ২০২৫ ২১:৪৩:১১
সিলেটে দুই সাংবাদিককে হয়রানীর অভিযোগ, প্রতিকার দাবি

সিলেট, স্টাফ রির্পোটার //

সিলেটে দুই সাংবাদিককে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের কখনো ডেবিল আবার কখনো আওয়ামী দোসর আখ্যায়িত দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে একদল সাইবার দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একজন হলেন সাপ্তাহিক সিলেটের আলো পত্রিকার উপসম্পাদক, বাংলাদেশ রিপোর্টাস সোসাইটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং সিলেট সিটি প্রেসক্লাবের সদস্য হুমায়ুন কবির। অপরজন হলেন, সুনাগঞ্জ জেলার দৈনিক হাওরাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, দৈনিক নিরপেক্ষ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান মাহতাব।

সাইবার সন্ত্রাসীরা এই দুইজনকে হয়রানী করতে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমাসহ ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলায় জড়ানোর অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও কথিত কিছু ভূইফোঁড় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়ে মান সম্মান ক্ষুন্ন করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের আগে ওই দুই সংবাদকর্মী শীর্ষ দুর্নীতিবাজ সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) রতনের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। তার জের মেঠাতে তৎক্ষালীন সময়ে কথিত এক ব্যক্তি রতনের পক্ষ নিয়ে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি আইনে মাহতাবকে আসামি করে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। সেই দোসররা অন্তর্বর্তীকালীন ইউনুস সরকারকে বির্তকিত করতে আবারও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের আখের গোছাতে এসব ঘটনাকে ভিন্ন খাতে তুলে ধরার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

এদিকে বিগত ১৮ ডিসেম্বর হয়রানীমূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংবাদিক মোঃ হুমায়ুন কবির। তিনি এর প্রতিকার দাবি করে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তার নাম বিকৃত করে ওরফে বন্দুক কবির লিখে সম্মান হানির চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে একই কায়দায় সাইবার সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক মাহতাবকে নিয়েও গুজব ছড়িয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করছে। অতীতের সেই মুখোশধারী আওয়ামী দোসররা এখনো থেকে যাচ্ছে আইনের ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

এবিষয়ে জানতে সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরের মুঠোফোনে কথা বললে তিনি প্রতিবেদক’কে বলেন, সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি তিনি একটি ব্যবসায়ী দোকানে কর্মরত রয়েছেন। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে এগুলো করাচ্ছে তিনি নিজেই বুঝে উঠতে পারছেননা। তবে এর প্রতিকার রোধে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাহতাব পরিবারের এক সদস্য মুঠোফোনে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কিছু দুর্নীতিবাজ নেতাকর্তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার পর থেকে তাদের পরিবারের উপর হয়রানী শুরু হয়। বর্তমান সময়ে এসেও সেই দোসররা একই পথ অবলম্বন করছে। এসময় তিনি প্রতিকার দাবি করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

মতামত ব্যক্ত করুন।