স্টাফ রির্পোটার, সিলেট //
সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ (রহঃ) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অভিযান চালিয়ে চমক দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকার নিষিদ্ধকৃত ভারতীয় পণ্যসহ দুই চোরাকারবারীকে আটক করেছে। এর আগে এতো বড়ো চালান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে জব্দ হতে দেখা যায়নি।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিসিক শিল্প নগরী খাদিম নগর ইউরোক্রস বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী অভিযান পরিচালনার পরে এসব ভারতীয় মালামাল উদ্ধারসহ দুইজনকে আটক করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ইউরোক্রস বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করে শাহপরাণ (রহঃ) মাজার পুলিশরে একটি আভিযানিক দল। পরে ঘটনার সংবাদ পেয়ে সরেজমিন পৌছেন দক্ষিণের ডিসি সাহরিয়ার। তার উপস্থিতিতে অভিযান সম্পন্ন করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানার জয়কলস গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সুমন মিয়া (৩১) ও জকিগঞ্জ উপজেলার সালেকপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইমদাদুর রহমান (২৫)। তারা দু'জন ইউরোক্রস বিল্ডিংয়ের সুপার ভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
অভিযানকালে আটককৃতরা পলাতক আরও তিনজনের নাম পুলিশের নিকঠ প্রকাশ করে। তারা হলেন- সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার ৫নং-ফতেপুর ইউনিয়নের মোঃ সালেহ আহমেদ (২৮), দাসপাড়া এলাকার হেলাল ওরফে তেরে নাম (২৯) ও ইউরোক্রস ম্যানেজার ফেনি এলাকার আবু সাদাত (৪৭)।
জানা গেছে, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহপরাণ (রহঃ) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই (নিঃ) মোঃ সাজিব হোসেনের নেতৃত্বে ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের দিকনির্দেশনায় একদল আভিযানিক পুলিশ বিসিক শিল্প নগরীর ইউরোক্রস বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ১৭ বস্তা ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গা এবং ৬৯ বস্তা বিভিন্ন ধরণের কসমেটিকস উদ্ধার করা হয়। যার আনূমানিক বাজার মূল্য ২,৪৪,৯৭,৯৯০ টাকা (দুই কোটি ছোয়াল্লিশ লক্ষ সাতান্ননব্বই হাজার নয়শত নব্বই টাকা)। মালামাল জব্দ ও আসামীদের আটকের পর শাহপরাণ (রহঃ) থানা পুলিশ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯৭৪ ধারা অপরাধে নিয়মিত মামলা রুজু করে তাদের আদালতে প্রেরণ করে।
এবিষয়ের সত্যতা দ্য ডেইলিমর্নিংসান'কে নিশ্চিত করেছেন, শাহপরাণ (রহঃ) মাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মোঃ সানাউল ইসলাম। তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় এরকম বড়ো কোন চালান জব্দ করা হয়নি। এসময় তিনি বলেন, চোরাচালান সহ অপরাধ নির্মুলে পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের কঠোর নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। যে কোন অপরাধ রোধে পুলিশ সোচ্চার রয়েছে।
মতামত ব্যক্ত করুন ও সংবাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.