• ২৫শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ৩০শে মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

কাশ্মীরের পেহেলগামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর

admin
প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল, শনিবার, ২০২৫ ২১:০৭:২২
কাশ্মীরের পেহেলগামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক //


ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তে ভারতকে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

শনিবার পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি কাকুলে এক প্যারেড অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি। খবর জিও নিউজ উর্দুর।

পেহেলগাম ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিতর্কিত অঞ্চল।কাশ্মীরি জনগণকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ কোনও প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে।পেহেলগামের ঘটনা নিয়ে একের পর এক ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত পাকিস্তান।

শাহবাজ শরিফ আরও বলেন, ভারত কোনও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত বা যাচাই প্রমাণ ছাড়াই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ করেছে।সাম্প্রতিক পেহেলগাম ট্র্যাজেডি চলমান দোষারোপের খেলার আরও একটি উদাহরণ।পাকিস্তান যে কোনো পক্ষপাতহীন, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশ নিতে প্রস্তুত।

ভারতের পানি আগ্রাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পানি আমাদের লাইফলাইন, এ বিষয়ে কোনো আপস করা যাবে না। পাকিস্তান যে কোনও মূল্যে তার সুরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে, যদি কোনও দুঃসাহসিক কাজ হয় তবে তারা ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মতো উপযুক্ত জবাব দেবে।আমরা জাতীয় শক্তি দিয়ে পাকিস্তানে পানি বন্ধ করার প্রতিটি প্রচেষ্টার জবাব দেব।

এদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ অভিযোগ করেন, ভারত সিন্ধু নদের পানিচুক্তি বাতিলের অজুহাত হিসেবে পেহেলগামের হামলাকে ব্যবহার করছে এবং কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ, তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না যে, যুদ্ধের আগুন জ্বলে উঠুক। কারণ এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে সেটি এই পুরো অঞ্চলের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে।’

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভারত-শাসিত কাশ্মীরের একটি পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় এক নেপালি নাগরিকসহ ২৬ জন নিহত হন। ভারত সরকার এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও ইসলামাবাদ এই দাবি তীব্রভাবে অস্বীকার করে এবং ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’ হিসেবেও অভিহিত করেছে।

হামলার পরদিন বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় ভারত।

ভারতের পদক্ষেপের জবাবে পাকিস্তানও কিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারতীয়দের ভিসা বাতিল, দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য স্থগিত, ভারতের বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধসহ বুধবার বেশ কয়েকটি পালটা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামাবাদ।

পালটাপালটি এসব পদক্ষেপে দেশ দুটির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যা হয়তো সামরিক সংঘাতে গড়াতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

মতামত ব্যক্ত করুন।