
আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান ও চীন। ভারতের নিয়ন্ত্রণে থাকা জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে প্রাণঘাতী হামলার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধের ঘনঘটার মধ্যে রোববার এই ঘোষণা দেওয়া হলো।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর ইসহাক দার বর্তমান আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ির সাথে টেলিফোনে মতবিনিময়ের সময় এই ঘোষণা দেয়া হয়।
এই দুই শীর্ষ কূটনীতিক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার বিকাশ এবং একতরফা ও আধিপত্যমূলক নীতির বিরোধিতা করার আহ্বান জানান।
কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চীন ছাড়াও সৌদি আরব, ইরান, মিসরসহ বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পাকিস্তান।
নয়াদিল্লি কোনো প্রমাণ ছাড়াই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা বাতিল, ওয়াগা-আত্তারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধসহ বেশ কয়েকটি কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর জবাবে পাকিস্তানও ভারতীয় বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা, ভারতীয়দের জন্য ভিসা বাতিলসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পাকিস্তান এছাড়া সিমলা চুক্তি বাতিল করার হুমকি দিয়েছে।
ইসলামাবাদ ওই হামলার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা দৃঢ়তার সাথে অস্বীকার করেছে। তারা ভারতের কাছে এ-সংক্রান্ত প্রমাণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসলামাবাদ ও বেইজিং শান্তি, নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্য হাসিলের জন্য ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বহাল রাখতে সম্মত হয়েছে।
সূত্র : দি নিউজ ইন্টারন্যাশনাল