মোঃ আব্দুল্লাহ, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি //
সিলেটের জৈন্তাপুরে মামলা করে চরম বিপাকে পড়েছেন এক দুবাই প্রবাসী পরিবার। মামলা তুলে নিতে হুমকি দমকিসহ প্রাণনাশের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিবাদীরা। এমনকি মামলার স্বাক্ষীদেরও হুমকি দমকি অব্যাহত রেখেছে। এতে চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছেন ওই প্রবাসী পরিবার।
জানা গেছে, বসতবাড়ীর সীমানা নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নং দরবস্ত ইউনিয়নের শুকইনপুর গ্রামের প্রবাসী পরিবার নুর মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের শমছুর উদ্দিন গং-দের বিরোধ চলে আসছিলো। সেই সুবাধে বিগত ২২ মে সকাল অনুমান ১০ টার দিকে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিবাদীরা প্রবাসীর ঘরে প্রবেশ করে নুর মিয়ার স্ত্রী হাওয়ারুন নেছাকে মারপিট সহ গুরুতর রক্তাত্ব জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালের আওতায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এঘটনায় বৃদ্ধা মা হাওয়ারুন নেছার ছেলে কালাম আহমদ (২৫) বাদি হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে বিবাদীরা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উটে। বর্তমানে সেই মামলা তুলে নিতে বিবাদীরা বিভিন্ন ভাবে বাদি ও তার পরিবারের সদস্যসহ স্বাক্ষীদের প্রাণনাশসহ হুমকি দমকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীণতায় ভুগছেন।
উক্ত মামলার বিবাদীরা হলেন- একই গ্রামের মৃত- ইয়াকুব আলীর ছেলে শমছুর উদ্দিন (৫৫), মৃত জমির আলীর ছেলে লোকমান আহমদ (২৫), কুটি মিয়ার ছেলে রহিম উদ্দিন (২৮), শমছুর উদ্দিনের ছেলে শামীম আহমদ (৩২), মৃত-ইছুব আলীর ছেলে ফারুক আহমদ (৩৮) ও আলীম উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর আহমদ (২২)। এখনো পর্যন্ত পুলিশ তাদের কাউকে আটক করতে পারেনি।
এবিষয়ের সত্যতা স্বীকার করে মামলার বাদি কালাম প্রতিবেদক’কে বলেন, বিবাদীরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দমকি ও স্বাক্ষীদের প্রাণনাশের পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে স্থানীয় এলাকায় বিষয়টি অবহিত করেছেন। এসময় তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার এক ভাই দুবাই থাকেন। আমি ছোটখাটো একটি পোল্ট্রি মুরগির দোকান দেই হরিপুর বাজারে। আমার বৃদ্ধা বাবা আমাকে সবসময় সহযোগীতা করেন। আমার বাড়ি দেখাশুনা করেন একাই বৃদ্ধা মা। ঘটনার দিনেও মা একাই বাড়ি ছিলেন। বিবাদীরা চেষ্টা করতেছে আমাদের তাড়িয়ে দিয়ে বসতবাড়ীসহ সহায় সম্পত্তি দখলে নেওয়ার। তিনি বলেন, ঈদের গরু কেনার জন্য ঘরে রাখা ৬০০০০/(ষাট হাজার) টাকাও তারা নিয়ে গেছে। এইজন্য এবছর আর গরু কেনা হয়নি। এসময় তিনি ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এবিষয়ে জানতে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই বিদ্যুতের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আসামী গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.