
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি //
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, পায়রা বন্দর ঘিরে বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার বন্দরটিকে ‘গ্রিন পোর্ট’ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। পরে নতুন সরকার এসে এ বন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে।
পায়রা বন্দরের উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা। রোববার পটুয়াখালীর কুয়াকাটার একটি হোটেলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
গ্রিন পোর্ট বলতে এমন বন্দরকে বোঝায়, যেটি পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই কার্যক্রমে বিনিয়োগ ও উৎসাহিত করে।
কর্মশালায় এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমরা বেসরকারি ও বিদেশিদের বলছি তারা যেন বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। পায়রা বন্দর পর্যন্ত যদি রেল লাইন আসে, তাহলে এ বন্দর আরও কার্যকর হবে। বরিশালে কনটেইনার টার্মিনাল করলেও ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
পায়রা বন্দরে পার্শ্ববর্তী দেশের মাধ্যমে আরও দুটি টার্মিনাল করার কথা থাকলেও আপাতত তা হচ্ছে না বলে জানান নৌ পরিবহন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘হয়তো পরে এ টার্মিনাল তৈরি হতে পারে।’ মাতারবাড়িতে আন্তর্জাতিক মানের গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা, পায়রা বন্দরের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করে রিকন্ডিশন গাড়ি আমাদানি করার উদ্যোগের বিষয়েও জানান এম শাখাওয়াত হোসেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল। ২০২৬ সালের জুলাই মাস থেকে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল ও নেদারল্যান্ডসের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হাসকোনিং কয়েক বছর ধরে কাজ করে পায়রা বন্দরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে।
মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসকোনিং এর দলনেতা মেনো মুইজ। তিনি বলেন, পায়রা বন্দরকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করা হয়েছে। বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের মংলা বন্দরের চেয়ে পায়রা বন্দরের সম্ভাবনা বেশি। এ বন্দরের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও বেশি হবে।
মতামত জানান।