আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
গাজার উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘের ত্রাণ নিতে আসা কমপক্ষে ৬৭ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছিল তারা। খবর বিবিসির
রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার অন্যান্য জায়গায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর। এর আগে গতকাল শনিবারও একইভাবে নিহত হয়েছিল ৩৬ জন।
জাতিসংঘও বলেছে, গাজার সাধারণ মানুষ ক্ষুধায় ভুগছেন এবং জরুরি ভিত্তিতে মৌলিক পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।
উত্তর গাজায় হতাহতদের গাজার শিফা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. হাসান আল-শায়ার রোববার বিবিসি জানিয়েছেন, হাসপাতালটি আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আহতদের কাউকে কাউকে কাছাকাছি অন্যান্য ফিল্ড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার কেন্দ্রীয় অংশের এক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে, যেখানে গত ২১ মাসে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালানো হয়নি।
রোববার আইডিএফ জানায়, দেইর আল-বালাহ শহরে অবস্থানরত স্থানীয় বাসিন্দা ও শরণার্থীদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে সরিয়ে ভূমধ্যসাগর উপকূলের আল-মাওয়াসি অঞ্চলের দিকে চলে যেতে বলা হয়েছে। এই নির্দেশ ভবিষ্যৎ হামলার ইঙ্গিত হতে পারে, যা হাজারো ফিলিস্তিনির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
মতামত জানান।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.