অনলাইন ডেস্ক //
সিলেটের আতিক কনভেনশন হলের বিষয়ে গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন ব্যাবসায়ী নুরউদ্দিন।
সিলেট নগরীর শাহপরাণ (রঃ) থানা এলাকার পীরের বাজার আতিক কনভেনশন হলে বিগত ১৭ জুন দিবাগত রাতে একটি অনাকাংখিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি একটি চাঁদাবাজ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে চাউড় করে যাচ্ছে। এতে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরউদ্দিন ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, একটি দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ চক্র পুর্বকল্পিত ভাবে সেই রাতে ভিন্ন পরিচয় দিয়ে তাদের ভাড়াকৃত রুমে প্রবেশ করে তাকে ও তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধুকে জিম্মিদশায় রেখে তাদের সাথে থাকা টাকা পয়সা লুঠ করে নেয়। পরবর্তীতে এর প্রতিকার চেয়ে তিনি নিজে বাদি হয়ে ২৩ জুন শাহপরাণ (রঃ) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বিষয়টি কনভেনশন হলের মালিক আতিক মিয়া জানতে পারলে সমাধানের লক্ষে স্থানীয়দের নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেন। একপর্যায় তিনি নুরউদ্দিনের সাথে যা ঘটেছে তা অনাকাংখিত ও ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এসময় পুরো ক্ষয়-ক্ষতি পোষিয়ে না দিলেও স্থানীয় মুরব্বিদের মাধ্যমে জরিমানা স্বরুপ বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়।
এদিকে ঘটনাকারীরা আতিক কনভেনশন হলের কার্যক্রম সহ মালিক ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী নুরউদ্দিনকে সমাজের চোখে খারাপ করতে বিভিন্ন ফন্দি আটতে থাকে। দীর্ঘ প্রায় মাসখানিক আগের ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনাকে আড়াল করে সম্প্রতি একটি কাটছাঁট ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউড় করে চাঁদা আদায়ের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে ওই সন্ত্রাসী গোষ্টি। আতিক কনভেনশন হলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ও নুরউদ্দিনকে সমাজের চোখে কালিমা পড়াতে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে তারা সম্প্রতি ওই কাটছাঁট ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে ওই বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে যাদের নামোল্লেখ করেছেন তারা হলো- আতিক কনভেনশন হলের ম্যানেজার বাদশা মিয়া (৩৩), পুরানবাড়ি কেওয়া গ্রামের আন্দুল হান্নানের ছেলে রায়হান আহমদ মান্না (২৮), পীরের চক গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম জনি (৩৫), একই গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৩০) ও পীরের চক মন্দিরের কোনা গ্রামের মৃত মীর মিয়ার ছেলে শেখ সালাম (৩২)। তারা ঘটনার রাতে তাকে ও তার আরেক বন্ধুকে জিম্মি রেখে নারী কেলেংকারী ও মাদক দিয়ে চালান দেওয়ার হুমকি দিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ওই চক্রটি। একপর্যায় কথিত কিছু কাটছাঁট ভিডিও ধারন করে তারা। জজ মিয়া নাটক সাজানোর পরে তাদের সাথে থাকা ৬৬০০০/ হাজার টাকা লুঠ করে নেয় ওই দুর্বৃত্তরা। পরদিন আরও এক লক্ষ টাকা দেওয়ারও কথা বলে ওই চক্রটি। পরে তিনি এর প্রতিকার চেয়ে থানা পুলিশের দ্বারস্থ হোন।
তিনি বিবৃতিতে আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা কখনও নিজেদের সংবাদকর্মী আবার কখনও বিভিন্ন দলের পরিচয়ে প্রকাশ্যে এসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অদূর ভবিষ্যতে এ ধরণের অনৈতিক কর্মকান্ড ও গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এরকম গুজবে কান না দিতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রেস-বিবৃতি।
Editor and Publisher : Nityananda Sarkar,
News Editor- Arun Sarkar.