
আন্তর্জাতিক ডেস্ক //
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিবাদপূর্ণ সীমান্তে সামরিক সংঘাতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আসা বিরোধের তীব্রতা বাড়িয়ে তুলেছে এ সাম্প্রতিক সংঘর্ষ।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হতাহতদের বেশিরভাগই দেশটির তিনটি প্রদেশের বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে, এ সংঘর্ষে হতাহতের বিষয়ে কম্বোডিয়ার এখনো কিছু জানায়নি।
দুই পক্ষের মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে গুলি বিনিময় হয়। দুই পক্ষেরই দাবি যে অপর পক্ষ প্রথমে গুলি চালিয়েছে।
একদিকে থাইল্যান্ড অভিযোগ তোলে কম্বোডিয়া তাদের লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করছে। অন্যদিকে, কম্বোডিয়া অভিযোগ করে ব্যাংকক তাদের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
এই পাল্টাপাল্টি অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিষয়টা দ্রুত আরও গুরুতর হয়ে ওঠে।
থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সঙ্গে তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। সামরিক বাহিনী ‘অতিরিক্ত বল প্রয়োগ’ করছে এ অভিযোগ এনে থাইল্যান্ডের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের মাত্রায় অবনমন ঘটিয়েছে কম্বোডিয়া।
দুই দেশই সীমান্তের নিকটবর্তী অঞ্চল থেকে নিজেদের নাগরিকদের অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। থাইল্যান্ড অবশ্য ইতোমধ্যে ৪০ হাজার বেসামরিক নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
কম্বোডিয়া সীমান্তের কাছে থাইল্যান্ডের বুরিরাম প্রদেশের বান দান জেলার স্থানীয় বাসিন্দা সুতিয়ান ফিওচান বিবিসিকে বলেন, (সংঘর্ষ) সত্যিই গুরুতর। আমরা এলাকা ফাঁকা করে দিচ্ছি।
থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দুই পক্ষের এই সামরিক সংঘর্ষের জেরে সুরিন, উবোন রাতচাথানি ও শ্রীসাকেত প্রদেশে আট বছর বয়সি এক শিশু, ১৫ বছরের একজন কিশোরসহ মোট ১১ জন বেসামরিক নাগরিক এবং এক সামরিক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
মতামত জানান।