ফাইল ছবি।
স্টাফ রির্পোটার, সিলেট থেকে //
সিলেটে গ্যাস চালিত অটোরিকশা সিএনজি চালক হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসির রায় প্রদান করেছেন মহামান্য আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৪ এর বিচারক শায়লা শারমিন এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রওশন আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (২১), দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বাদশা মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ (১৯), ফজিল বারীর ছেলে শিপু মিয়া (১৯), হাজী মুসুক মিয়ার ছেলে জাকারিয়া মুন্ন (২০) ও হরমুজ আলীর ছেলে মো. রুহল আমিন (২০)।
রহস্যজনক হলেও সত্য স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবি জায়েদা বেগম। এসময় তিনি বলেন, ১২ জনের স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে দীর্ঘ দশ বছর পরে আদালত এই ফাঁসির রায় কার্যকর করেছেন।
মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৭ ই আগষ্ট গ্যাস চালিত অটোরিকশা সিএনজিসহ চালক হযরত আলীকে নিয়ে সিলেট থেকে বিয়ানীবাজার উপজেলায় যান। সেখানে রাত আনূমানিক ১১টার দিকে হযরতকে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে ঘাতক খুনিরা পালিয়ে যায়। পরদিন নিহতের ভাই শুক্কর আলী বাদি হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তখন নিহতের শরীরে ১৭টি জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। অবশেষে দীর্ঘ দশ বছর পরে আদালতের বিচারক ৫ জনের বিরুদ্ধে এই ফাঁসির রায় দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
হযরত আলীর বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর থানার জাহাঙ্গীর নগর গ্রামে হলেও দীর্ঘ দিন থেকে তিনি দক্ষিণ সুরমা থানার আলমপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন নিহতের ভাই শুক্কুর আলী। তিনি অবিলম্বে আসামীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার এপিপি বলেন, এই রায় সিলেটের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। বিজ্ঞ আদালত যুক্তিতর্ক শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই এ রায় দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আরেক আইনজীবী এডিশনাল পিপি দীনা ইয়াসমিন জানান, আমরা চাইবো পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে রায় কার্যকর করা।