সাবেক মন্ত্রী ইমরান ও লিয়াকত আলী উপরে ও নিচে জালাল উদ্দিন-আটককৃত কামাল, ছবি-সংগৃহীত।
স্টাফ রির্পোটার, সিলেট থেকে //
সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার মোকাম বাড়ি (আলুবাগান) এলাকার পঞ্চপান্ডবসহ সাবেক এমপি ইমরান আহমদ ও শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি লুটপাটের বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেকে আবার কোটিপতি হয়েও নিজেদের ভূমিহীন দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিপুল পরিমাণ সম্পতি। জেলা-উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন একরের পর একর ভূমি। এখন তারা জিরো থেকে কোটিপতি।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মোকামবাড়ী মৌজার, ভিপি খতিয়ান নং-৭৩, দাগ নং-১০৭/১৩৮,১৩৪, ১০৭/১৩৬,১১৪/১১০, জে, এল,নং-০১ এর বেশিরভাগ সরকারি সম্পত্তি কোটিপতি জালাল উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বন্দোবস্ত নিয়েছেন। কখনো ক্রয়সূত্রে মালিক বনে গেছেন। পঞ্চপান্ডবের নেতৃত্বে ছিলেন জালাল উদ্দিন একাই। তাও তার টাকায় কেনা অনেক সম্পত্তি একই পরিবারের পঞ্চপান্ডবরা ভাগিয়ে নিয়েছেন। পরবর্তীতে মার জরিপের তসদিক পর্চা সংগ্রহ করে ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছেন। এছাড়াও নামে-বেনামে গড়ে তোলেছেন পাহাড়সম সম্পত্তি। রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি-বাড়িও। একসময় নুন আনতে পান্থা ফুরায় তাদের। পিতা ছিলেন একজন দিনমজুর শ্রমিক। কিন্তু আলাদিনের চেরাগ ধরা দেয় ডিম বিক্রেতা জালাল উদ্দিনের মুঠোয়। অদৃশ্য কারনে অল্পদিনে হয়ে ওঠেন শত শত হাজার কোটি টাকার মালিক।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলায় অর্থসম্পাদক পদ ভাগিয়ে নিয়ে তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। শুরু হয় তার উত্তান। তামাবিল স্থলবন্দর এলাকাছাড়াও দেশে-বিদেশে গড়ে তোলেছেন বড়ো একটি নেটওয়ার্ক। তার বিপুল এই সম্পত্তি গড়ে তোলার পেছনে কাজ করেছেন সাতবারের নির্বাচিত সাবেক কথিত প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী (এমপি) ইমরান আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা কামাল আহমদ। এর মধ্যে ইমরান আহমদ ও যুদ্ধাপরাধির ছেলে লিয়াকত আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গা ডাকা দিয়েছেন। অপরদিকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকায় কামাল আহমদ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)’র হাতে আটক হয়ে কারাভোগ করছেন।
এদিকে খোলস পাল্টিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি’তে যোগদানের জোর লোবিং চালাচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থসম্পাদকের দায়িত্বে থাকা জালাল উদ্দিন। তার কাছেই ছিলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল হিসেব-নিকেশ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অল্পদিনে মোকামবাড়ী এলাকাসহ সিলেট জেলা- উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে সরকারি সম্পত্তি দখলসহ টিলাবাড়ী দখলে নেন। সিলেটের অভিজাত সোবহানিঘাট (কাচাবাজর) সংলগ্ন এলাকায় কোটি টাকা ব্যায়ে গড়ে তোলেছেন মার্কেট। সিলেট নগরীর শাহপরাণ (র.) থানা এলাকার ইসলামপুর মেজরটিলায় রয়েছে কোটি কোটি টাকার একটি প্লট। খাদিমপাড়া বটেশ্বর সোনালি ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ের একটি বিলাসবহুল বাসা। জৈন্তাপুর বাজারে নূরানি রেষ্টুরেন্ট, জৈন্তাপুর থানার সম্মুখ ভাগে ওর্য়াকসবের দোকানসহ একটি মার্কেট, চাঙ্গিল এলাকায় চালক শ্রমিক অফিস সংলগ্ন প্রায় দুই বিঘা ভূমি, রাজবাড়ী বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন ব্রিজ’র পাশে প্রায় এক বিঘা, কদমখাল এলাকায় প্রায় আরও এক বিঘা। মোকামপুঞ্জি নামক গ্রামে রয়েছে প্রায় শতবিঘা, শ্রীপুর নদীর তীরবর্তী সাবেক এমপি ইমরান আহমদের বাড়ীর পেছনে মরাজুম আরো অর্ধশতাধিক ভূমি, আলুবাগান এলাকায় হেন্দ্রি লামিনের ক্রাশার জোনে ক্রাশার মিল রয়েছে আরো তিনটি। জৈন্তিয়া হিল রির্সোটের নিচে আছে অন্তত অর্ধশত বিঘার উপরে। মেকামবাড়ী মৌজার মোকামবাড়ী গ্রামে সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে রোড সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ২৫ বিঘা, কুইন রির্সোট সংলগ্ন পশ্চিমপাশে প্রায় সাড়ে ৮বিঘা, নলজুড়ি রেষ্টহাউজ সংলগ্ন দক্ষিণপাশে রয়েছে অন্তত ৬টি বাড়ী, ওই এলাকার বায়ন হাওড় টুনির টিলা এলাকায় সরকারি সম্পত্তি প্রায় দুইশ’ বিঘার উপরে রয়েছে ফিশাড়ি আর শতবিঘার উপরে রয়েছে কৃষি জমি। নলজুড়ি বাজারে ৬টি দোকান ও আমস্বপ্ন যাওয়ার রাস্তার ডানপাশে কৃষি জমি রয়েছে আরো ১৬ বিঘা, একই রাস্তার বাম পাশে রয়েছে সাড়ে ৭ বিঘার উপরে দুটি ক্রাশার মিল, কাশিয়া হাওড় গ্রাম থেকে তামাবিল স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ২শ’ বিঘা। রহস্যজনক হলেও সত্য যে ওই দুইশ’ বিঘা ভূমি ইকোনোমি জুনের জন্য বরাদ্দ করা হলেও দখলে রেখেছেন জালাল উদ্দিন। আমস্বপ্ন গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে আরো প্রায় অর্ধশতাধিক বিঘা ভূমি। তামাবিল স্থলবন্দর পার্শ্ববর্তী এলাকায় রয়েছে পাথর মজুদ রাখার ডাম্পিং ৮টি, অফিস গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত অর্ধকুড়ি। এই অফিসগুলো গড়ে তোলা হয়েছে মূলত সরকারি বন বিভাগের ভূমির উপরে। এছাড়াও তামাবিল বিজিবি ক্যাম্পের সম্মেলন কেন্দ্রের ডান দিকে ১ নং- গেইট পর্যন্ত সিএমপি’র ভূমির উপরে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কয়েকটি ডাম্পিং। জাফলং মামার দোকান বাজারে মার্কেট আছে ৬টি, বল্লাঘাটে হোটেল রয়েছে আরো ২টি, বল্লাঘাট নদী সংলগ্ন এলাকায় সুপারি বাগানসহ ভূমি আছে অন্তত প্রায় অর্ধশত বিঘা। জাফলং নকশিয়াপুঞ্জি এলাকায়ও রয়েছে বিশাল সম্পত্তি। তার ব্যাক্তিগত বিলাসবহুল ল্যান্ডক্রোজারসহ ৬টি গাড়ি রয়েছে। হাইড্রোলিক ডাম্পার ট্রাক অন্তত ২০টি, কৃষি টার্বো ট্রাক ৩০টির উপরে, ফেলোডার ৬টি, এক্সভেটর ৪টি, বন্দর এলাকায় মালামাল আনয়নের জন্য এমভি জাহাজ রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি। সুনামগঞ্জ জেলার বাঘলি ও ছাড়াগাঁও সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পাথর-কয়লা বহনের জন্য বলগেট রয়েছে আরো বেশ কয়েকটি।
এদিকে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, পাথর-কয়লা ব্যবসার আড়ালে জালাল উদ্দিন শীর্ষ চোরালানিদের গডফাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ নং-ফতেহপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন শীর্ষ বিএনপিপন্থি চোরাকারবারি থাকে শেল্টার দিতেন। ইতোমধ্যে চোরাচালানি অভিযোগে তার আমদানি ও রপ্তানিকৃত একাধিক বাণিজ্যেক লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করেছে রাজস্ব বিভাগ। সে ভারতীয় জুতো আমদানি করার কথা বলে বিভিন্ন ধরণের কসমেটিকস পণ্য অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করতো। সরকারকে শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন এই অবৈধ পন্থায় কাড়ি কাড়ি টাকা উর্পাজন করে বনে গেছে জিরো থেকে হাজার, হাজার কোটি টাকার মালিক।
যে পঞ্চপান্ডবদের নিয়ে তিনি এই কোটি কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়েছেন তারা হলেন- মৃত সফাতুর রহমানের ছেলে জালাল উদ্দিন, আজির উদ্দিন, আব্দুল্ল্যাহ, শাহাবুদ্দিন ও আলীম উদ্দিন। তাদের সকলের নামে ভাগ-বাটোয়ারা করে এসব সম্পত্তি ভোগদখলে রেখেছেন। বর্তমানে রাজু আহমদসহ অন্যান্য লাইসেন্স ব্যাবহার করে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় রাজু আহমদ ছিলেন জালাল উদ্দিনের ম্যানেজার । এখন সেই ম্যানাজারও কোটিপতি বনে গেছেন। তদন্তে আরো জানা যায়, অনেক অসহায় ব্যক্তির নামেও হাতিয়ে নিয়েছেন এসব ভূমি।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে উপরোক্ত নেতাকর্তাদের সঙ্গি হয়ে তিনিও একযোগে কাজ করেছেন। এমপি ইমরান আহমদ একই পথে শত শত হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছেন। ইমরান আহমদ তিনি তার নির্বাচনী ঈশতেহারে অনেক তথ্য আড়াল করে গেছেন। শ্রীপুরসহ জৈন্তা-গোয়াইনঘাট উপজেলায় গড়ে তোলেছেন হাজারেরও বেশি একর ভূমি। তিনিও এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। বিনা নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে কমিটি গটন করে তামাবিল ব্যাবসায়ী সংগটনের নেতৃত্ব দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। তবে রহস্যজনক হলেও সত্য যে, কথিত এমপি ইমরান আহমদ ও জালালউদ্দিন বৈষম্য বিরোধি ছাত্র-জনতা আন্দোলন ঠেকাতে ছিলেন সোচ্চার। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অনেক সহজ সরল ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে আমজনতারাও ভয়ে মুখ খুলতে রাজি নয়। অভিযোগ রয়েছে তারা কথিত কিছু হলুদ সাংবাদিকদের দিয়ে স্থানীয় এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করে আসছিলো। দলীয় প্রভাব বিস্তার করে জৈন্তা-গোয়াইনঘাট সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিঠিয়ে দেয়া হয়েছিল চোরাকারবারীদের। সেখান থেকেও আসতো বড়ো অংকের চাঁদা। কোন কিছু ঘটার আগেই তারা ব্যাবহার করতো হরিপুর এলাকার বেশ কয়েকজন শীর্ষ চোরাকারবারীদের। ওরা সবসময় বৈঠকের নাম ভাঙিয়ে কৌশল অবলম্বন করে বিচার সালিশ ডাকতো। এতে স্থানীয় অনেকে কথা বলতে পারতো না। পাশাপাশি মুল ধারার সাংবাদিকরাও ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা বানোয়াট হামলা-মামলার ভয়ে এদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে রাজি নয়।
সরেজমিন আরও জানা যায়, জৈন্তাপুর ওই সিন্ডিকেট গ্রুপের যাতাকলে এখনো অনেক হতদরিদ্র কৃষক পরিবার ভূমিহীন অবস্থায় রয়েছেন। তারা মামলা-হামলার ভয়ে বন্দোবস্ত নিতে জেলা-উপজেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হননি। এদিকে দেখা যায়, মোকামবাড়ী এলাকায় ছোট-বড়ো ৪টি জলমহাল (বিল) রয়েছে। সেগুলো হলো ছোট ডখা বিল, বড়ো ডখা বিল, লেবার কুড়ি ১ ও ২। এই চারটি বিল ফিশিং করেন এমপি ইমরান আহমদের নেতৃত্বে। প্রতিবছর মাছ শিকার করা হয় অন্তত চারকোটি টাকার। স্থানীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন নেতাকর্মী বিলটি ফিশিং করেন। ইমরান আহমদ এই বিলটি পুরোপুরি দখলে রেখে লুটতরাজ বাণিজ্য চালিয়ে গেছেন। সূত্রটি জানায় ওই জলমহাল সরকারি তালিকায় থাকলেও জবরদখলে নিয়ে তারা বিল ফিশিং করছেন। এর ভাগবাটোয়ারা পেতেন জালাল উদ্দিন, লিয়াকত আলী, জকিগঞ্জ উপজেলার আরেক আ.লীগ নেতা লোকমানও জড়িত ছিলেন। তবে আরেকটি সূত্র জানায় ইমরান আহমদ জলমহালগুলো পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে অনেকসময় বিক্রয় করে থাকতেন। রহস্যময় ঘেরা জৈন্তা-গোয়াইনঘাটের প্রায় অর্ধেক ভূমি তাদের হাতের মুঠোয় চলে গেছে বললেও ভূল হবেনা। কিন্তু আজো পর্যন্ত তারা থেকে যাচ্ছে আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিপুল এই সম্পত্তি হরিলুটের মহোৎসবের কারনে প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব। অন্যদিকে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরে গা ডাকা দিয়েছেন জালাল উদ্দিনও। প্রথমদিকে তিনি উপজেলা পর্যায়ের কতিপয় অসাধু কয়েকজন বিএনপি’র শীর্ষ নেতাকর্মীদের হাত করে বিশাল তবিয়তে থাকার অপচেষ্টায় লিপ্ত হলেও অবশেষে গা ডাকা দিয়েছেন। বিএনপি’র শীর্ষ নেতাকর্মীদের মধ্যে হরিপুর এলাকার তিনজন কর্তা এরমধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে এমপি ইমরান আহমদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কোন সাড়াশব্দ মিলেনি। অন্যদিকে লিয়াকত আলীর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জালাল উদ্দিনের মুঠোফোনে কল দিলে তার ভাই পরিচয় দিয়ে কথা বললেও তিনি সাংবাদিক শুনার পরে সংযোগটি কেটে দেন। কামাল আহমদ কারাগারে থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাজু ও লোকমান আহমদ’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে জানতে জালাল উদ্দিনের ভাই শাহাবুদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এই ভূমি বাপ দাদা থাকাকালীন সময় থেকে আমরা ভোগদখল করে আসছি। এর বাহিরে আমি কথা বলতে পারবোনা তবে আপনে আমাদের এলাকার মেম্বার আছেন উনার সাথে কথা বলেন বলেই মুঠোফোন দিয়ে দেন। পরে আব্দুল হাশিম সুন্দই মিয়া (মেম্বার নামক) এক ব্যাক্তি পরিচয়ে সংবাদকর্মীকে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন আপনে কি ভূমি লিজ নিবেন, সন্ধান করার দায়িত্ব আপনাকে কে দিলো? আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসব ভূমি ডিসি অফিস ও তসিল অফিস থেকে দেয়া হয়েছে এগুলো আপনার দেখার বিষয়না। এসময় তিনি সরেজমিনে যাওয়ার দাওয়াত দেন।
এদিকে প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত সিলেট প্রেসক্লাব থেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ইকরামুল কবির নামক এক ব্যাক্তি প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কল দিয়ে জানতে চান, পাথর ব্যাবসায়ী জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে কি অভোযোগ রয়েছে। এসময় তিনি বলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের পরিচয় দিয়ে জালাল উদ্দিনের মুঠোফোনে কে যেনো কথা বলেছে। তখন প্রতিবেদক তাকে প্রশ্ন করেন সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে কি প্রেসক্লাব পরিচয় দেয়া লাগে না পত্রিকার পরিচয় দেয়া লাগে। পরবর্তীতে তিনি মুঠোফোন সংযোগ কেঠে দেন। এখন প্রশ্ন থেকে যায় ইকরামুল কবিরের সাথে জালাল উদ্দিনের গভীর সখ্যতা নিয়েও। কারন যেখানে তার ভাই শাহবুদ্দিন আত্মপক্ষ সর্মথনকালে তিনি বলেছেন জালাল ভাই বাহিরে আছেন সেখানে জালাল উদ্দিন কিভাবে ইকরামুল কবিরের সঙ্গে আলাপচারিতায় যুক্ত হলেন? কারন প্রতিবেদক জালাল উদ্দিনের সঙ্গে শত চেষ্টা করেও বক্তব্য নিতে পারছেননা।
এব্যাপারে জানতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, আমি একটি পূজো মন্ডপে আছি, আপনে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে সিলেট এডিসি রের্কডরুমে খোঁজ নিলে।