আবুল হাসিমের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে স্ক্রিনশট নেয়া লেখা, ছবি-সংগৃহীত।
স্টাফ রির্পোটার, সিলেট //
মাস্টারমাইন্ড সিলেট জেলা যুবদল নেতা আবুল হাসিমের বিরুদ্ধে এবার মিলল বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র তামাবিল স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য কমিটি কুক্ষিগত করে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন। নিজেকে সভাপতি দাবি করে তামাবিল স্থলবন্দর কুক্ষিগত করতে চেয়েছিলেন তিনি। বিগত ১৮ আগষ্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট দিয়ে ‘আওয়ামী লীগ দালাল মুক্ত’ গুজব ছড়িয়ে দিয়ে তিনি সভাপতি সেজে তামাবিল পাথর আমদানি কারক গ্রুপ নাম ব্যাবহার করে তড়িৎ গতিতে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন কার্যকরি কমিটি গঠন করে ফেলেন। ওই কথিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম দেওয়া হয় জাহিদ খান নামক এক জনৈক ব্যক্তিকে। পরদিন ১৯ আগষ্ট অনিয়ম বন্ধের দোহায় দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক রাখা এবং প্রকৃত ব্যবসায়ী সদস্যের ভোটে নির্বাচিত নতুন কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে কৌশল অবলম্বন করে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টিও তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। রহস্যজনক হলেও সত্য যে, আগেরদিন ১৮ আগষ্ট কোন ঘোষণা ছাড়াই কাউকে না জানিয়ে নিজেকে সভাপতি দাবি করে ওই সিন্ডিকেট কথিত কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে একটি নতুন কার্যকরি কমিটি গঠন করা হয়। তখন তিনি বৃহত্তর জৈন্তাবাসী এলাকার বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করার কোন প্রয়োজন মনে করেননি। তিনি তার মনগড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৭ পরগনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরি কমিটির গঠন কাজ সম্পন্ন করেন। ঠিক তার পরদিন তিনি মিডিয়াকে ব্যবহার করে ওই নতুন কমিটির কথিত একাংশ লোক নিয়ে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবে বসে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। যা রুপকথার গল্পকেও হার মানায়। এছাড়া সে নিজেকে মিডিয়ার সামনে তোলে ধরতে একাধিকবার জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবকেই বেছে নিয়েছে। নিজের কূকর্ম ঢাকতে সাথে সাথে দ্বারস্থ্য হয় ওই প্রেসক্লাবে। তবে সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক পদ ভাগিয়ে নেওয়ার পর সে আরও বেশি তৎপড় হয়ে ওঠেছে। তার এক ভাই আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা হলেও আরেক ভাই উপজেলা বিএনপি নেতা। বর্তমানে একই ঘরে তারা দুই ভাই দুটি পদ নিয়ে জেলা-উপজেলা চুষে বেড়াচ্ছে।
এদিকে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক তামাবিল স্থলবন্দর আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্য কমিটি গঠনের একটি নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালাকে উপেক্ষিত করে যেমন ইচ্ছে তেমন নতুন কার্যকরি কমিটি গঠন করলে সেটা হবে নীতিমালার চরম লঙ্গন। এই ভূইফোড় ‘জবর দখল’ কমিটি গঠন ও সংবাদ সম্মেলন ছিল সম্পন্ন আইওয়াস। এতে বৃহৎ ব্যবসা কেন্দ্র তামাবিল স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যিক কার্যক্রম কমিটির মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
এর আগে ওই কথিত যুবদল নেতা আবুল হাসিমসহ তার সিন্ডিকেট গ্রুপের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির আরও তিনটি সংবাদ প্রকাশিত হলেও টনক নড়ছেনা প্রশাসনের। বরং সে ও তার সিন্ডিকেট চক্র নিজেরা গা ঢাকা দিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের সহযোগিতাকারী স্বপক্ষের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলার চক কষছে। অথচ ওই সংবাদকর্মীরা বিভিন্ন ভাবে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্যাতন নিপীড়নের হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।