• ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

গণভবনে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের জাদুঘর নির্মাণের জন্য উপদেষ্টাদের নির্দেশ

admin
প্রকাশিত ২৮ অক্টোবর, সোমবার, ২০২৪ ১৯:৪২:৩৫
গণভবনে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের জাদুঘর নির্মাণের জন্য উপদেষ্টাদের নির্দেশ

ঢাকা //


সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণভবন পরিদর্শন করেন অন্তর্বর্তী সরাকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিদর্শন কালে গণভবনে দ্রুত জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের জাদুঘর নির্মাণের জন্য উপদেষ্টাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ।

সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে এখানে বসবাস করেন। এসময় এটি তার নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন ও নৃশংস স্বৈরশাসনের প্রতীক হয়ে ওঠে।

বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে বিধ্বস্ত ভবনটি পরিদর্শনকালে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাদুঘর তার দুঃশাসনের স্মৃতি এবং ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার পর জনগণ যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তা সংরক্ষণ করবে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী কর্মীকে আটক রেখেছিল যে ‘আয়নাঘর’-এ, তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত।

তিনি বলেন, আয়নাঘর দর্শকদের গোপন বন্দীদের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেবে।

অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টাদের জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেন তিনি।

ছাত্রনেতা থেকে উপদেষ্টা হওয়া নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া হাসিনা শাসনের অপকর্মগুলো জাদুঘরে যত সহকারে সংরক্ষণ করা হবে।

তিনি বলেন, কীভাবে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মারক জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে তা জানতে তারা অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করছেন।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত চলে যাওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী ঝড়ের বেগে গণভবনে ঢুকে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে এবং ‘খুনি হাসিনা’র মতো প্রতিবাদী নোট লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।