• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্প শপথ গ্রহণের আগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফেরার নির্দেশ

admin
প্রকাশিত ৩০ নভেম্বর, শনিবার, ২০২৪ ২২:৪৭:১২
ট্রাম্প শপথ গ্রহণের আগে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফেরার নির্দেশ

ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক //


আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করবেন। এর আগেই দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফেরার নির্দেশনা দিয়েছে। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চশিক্ষা ও অভিবাসন নীতিতে নতুন নির্দেশনা জারি করতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকা শিক্ষার্থী ও কর্মীরা বিপাকে পড়তে পারেন। খবর এনডিটিভির

ট্রাম্প ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, ক্ষমতায় বসেই তিনি অর্থনীতি ও অভিবাসন ইস্যুতে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশ জারি করবেন। এর আগে প্রথমবার ক্ষমতায় বসে ট্রাম্প অভিবাসন নীতি নিয়ে কঠোর অবস্থানে ছিলেন। এমনকি দেশটিতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছিল।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ব্যুরো এবং ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের মোট বিদেশি শিক্ষার্থীদের ৫৪ শতাংশই ভারত ও চীন থেকে আসা। ২০২৩-২৪ সেশনে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের শিক্ষার্থী ৩ লাখ ৩১ হাজার ৬০২ জন। আর চীনের শিক্ষার্থী রয়েছেন ২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৮ জন।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস অফিসের পরিচালক ডেভিড এলওয়েল উদ্বেগ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভ্রমণ ও ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। এ জন্য শীতকালীন ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের দ্রুত ক্যাম্পাসে ফেরা উচিত। কারণ, নতুন নীতিতে ভিসা প্রক্রিয়া বিলম্ব হতে পারে। ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অফিসও একই পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে, ট্রাম্পের শপথের আগে শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে উপস্থিত থাকা সবচেয়ে নিরাপদ হবে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় অভিবাসন নীতি কঠোর করার বার্তা দেন। সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের ইঙ্গিত দেন তিনি। অভিবাসন নীতি কঠোর করলে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ অনেক দেশের মানুষ বিপাকে পড়তে পারেন। প্রচারণায় নেমে ট্রাম্প বলেছিলেন, বৈধতার কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ধড়পাকড় করতে তিনি সামরিক বাহিনীকে কাজে লাগাবেন। এমনটা হলে তা হবে স্পষ্টতই নজিরবিহীন।