রোকেয়া খাতুন জান্নাত, ছবি-সংগৃহীত।
শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি //
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে অবস্থিত সান হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে রোকেয়া খাতুন জান্নাত (৫) নামে এক শিশু। তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে শিশুর পিতা উপজেলার বিশাউড়া গ্রামের আব্দুস শহীদ খানের পুত্র এম ডি মামুন জেলা প্রশাসক হবিগঞ্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর জান্নাত নিজ ঘরের কারেন্টের চুলায় অগ্নিদগ্ধ হয়। এতে তার ডান হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। তার শোর চিতকার শুনে বাড়িতে থাকা লোকজন দ্রুত অলিপুরে অবস্থিত সান হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন নামে একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার হাসপাতাল পরিচালক ডাঃ মোঃ সায়েম বলেন এই প্রাইভেট হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা হবে। সরল বিশ্বাসে শিশুর পিতা ওইখানে ভর্তি করেন। ৩ দিন রোগী ভর্তি থাকার পর ছাড়পত্র দিয়ে দেয়া হয়। এরপর প্রতিদিন জান্নাতকে ওই হাসপাতালে ড্রেসিং করতে বলেন হাসপাতাল কতৃপক্ষের লোকজন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন শিশুটিকে তার পিতা ড্রেসিং করান।
ছয় দিনের মাথায় ডাক্তার সায়েম বলেন রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। পরে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় শিশু জান্নাতকে। ৩ অক্টোবর হতে ২৪ অক্টোবর প্রফেসর ডাক্তার তানভীর আহমদে এর তত্বাবধানে চিকিৎসা করা হয় তার। চিকিৎসক জানান, ভুল চিকিৎসার কারনে শিশুর ডান হাত কেটে ফেলতে হতো। দ্রুত বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসায় হাতটা বেঁচে গেছে।
হতদরিদ্র এম ডি মামুন বলেন, আমি জেলা প্রশাসক বরাবরে বিচারের আশায় আবেদন করেছি, সান হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ভুল চিকিৎসার কারনে সুদে এনে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করেছি, ডাক্তার বলছেন আরো টাকা লাগবে।
অপর একটি সূত্র জানায়, অলিপুর সান হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন হাসপাতালে অদক্ষ ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় । এর ফলে প্রতিনিয়ত এধরনের ভুল চিকিৎসা ও অপচিকিৎসা চলছে। এতে করে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরনসহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন।