রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি-সংগৃহীত।
মর্নিংসান অনলাইন ডেস্ক //
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম ও বিনিয়োগ রয়েছে। দুবাইয়ে তার ব্যবসা ও রেসিডেন্সি থাকার বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক । অভিযোগ রয়েছে, রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগেই তিনি মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রকল্পে ১ লাখ ৫০ হাজার রিংগিত বিনিয়োগ করেছেন। দুবাইয়ে ‘ওয়ারাদ জেনারেল ট্রেডিং এলএলস’ নামে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের মাধ্যমে রেসিডেন্স ভিসা পেয়েছেন। এছাড়া, তিনি তৃতীয় একটি দেশের পাসপোর্টেও বিনিয়োগ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
এই বিনিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ে তিনি এসব বিনিয়োগের জন্য কোনো সরকারি অনুমতি নিয়েছিলেন কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে নেয়ার কোনো অনুমতি দেয়া হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হলে আনুগত্য ও সততা বজায় রাখা অপরিহার্য। যদি তিনি কোনো তৃতীয় দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে রাষ্ট্রপতি পদে থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
এদিকে, এসব বিনিয়োগের বিষয় রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম এবং দুবাইয়ে বিনিয়োগ বৈধভাবে হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের ব্যাংকের আইন অনুসারে, দেশের বাইরে বিনিয়োগ করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক।