স্টাফ রির্পোটার, হবিগঞ্জ //
হবিগঞ্জ শহরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় তাজুল ইসলাম মহুরি প্রকাশ্যে অফিস করলেও তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন তাজুলের খুটির জোর কোথায়?
গত ২৫ ডিসেম্বর হরিপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত মরম আলীর পুত্র মেরাজ আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় সাবেক এমপি আলহাজ্ব এডভোকেট আবু জাহিরসহ তাজুল ইসলাম মহুরিকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর থেকে রিচি গ্রামের জনাব আলীর পুত্র তাজুল ইসলাম মহুরি (৪০) প্রকাশ্যে জেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে দলিল রেজিস্ট্রারীর কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করছে না।
জানা যায়, তাজুলের এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। আজ সে শতকোটি টাকার মালিক। শহরবাসী জানান, এমপি আবু জাহিরের সহযোগি হিসেবে কাজ করতো তাজুল ইসলাম। সে অবৈধ দলিল করে দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা তদন্তাধীন আছে।
গত ৪ আগষ্ট তাজুল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে আন্দোলনকারী ছাত্রদের ওপর কলাপাতা হোটেলের সামনে হামলা করে। যার ভিডিও রয়েছে এ প্রতিনিধির কাছে। এমনকি বিভিন্ন মামলা থেকে বেঁচে গেলেও অবশেষে যুবদল নেতা মেরাজ মিয়ার মামলায় এজাহারভুক্ত হয়েছেন। তাজুল প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দলিল রেজিস্ট্রারের কাজ করছেন। আন্দোলনকারীরা অবিলম্বে তাজুলকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
নিয়মিত সংবাদের সাথে যুক্ত থাকুন।