চুনারুঘাট থেকে ঘুরে এসে জুয়েল চৌধুরী, প্রতিনিধি হবিগঞ্জ //
চুনারুঘাটে গোপনে বিয়ে করে স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাওয়ায় অনশন শুরু করেছে এক নারী। পরে মাতব্বরদের আশ্বাসে অনশন তুলে নিলেও প্রতিকার পায়নি। মাতব্বররা সামান্য কিছু টাকা দিয়ে রফাদফার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনা ঘটেছে চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুড়ি ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামে।
জানা যায়, ওই গ্রামের কামাল মিয়ার পুত্র ইমন তালুকদারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে একই ইউনিয়নের গোসাইনগর গ্রামের কুরবান আলীর পুত্র জোসনার। ইমন তালুকদার ৬ বছর আগে মুড়ারবন্দ মাজারে নিয়ে অলিকে সাক্ষী রেখে তাকে বিয়ে করে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে। তাদের ২ কন্যা সন্তান জন্ম নিলেও তারা মারা যায়।
এদিকে তাকে রেখে ইমন জোসনাকে বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে সংসার করে। সম্প্রতি ইমন শৈলজুড়া গ্রামের জনৈক যুবতীকে বিয়ে করে। এরপর জোসনার টনক নড়ে। কয়েকদিন আগে সে ইমনের বাড়ি গিয়ে অনশন করে। ওই সময় এলাকার শ্রমিক নেতা জুয়েল মিয়া ৪০ হাজার টাকার মাধ্যমে রফাদফার চেষ্টা করে। কিন্তু এতে জোসনা অনিহা প্রকাশ করে। কোথাও বিচার না পেয়ে গতকাল সে হবিগঞ্জ কোর্টে এসে বিষ হাতে নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে বাড়ি ফিরে যায়।
জোসনা জানায়, পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলো। কিন্তু কিছুদিন আগে সে তাকে রেখে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে। বর্তমানে প্রাণ কোম্পানীতে চাকরি করে। তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে সে আত্মহত্যার হুমকি দেয়। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
মুল্যবান মতামত জানান।