• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সাবেক পুলিশ সুপার আজবাহার-আলতাফসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

admin
প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, ২০২৪ ০০:৫৬:৪৬
সাবেক পুলিশ সুপার আজবাহার-আলতাফসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতীকী ছবি।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি //

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি আবুজর গিফারী ও শিবির কর্মী শামীম হোসেনকে হত্যার দায়ে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে আমলি (জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) কালীগঞ্জ আদালতে আবুজার গিফারীর বাবা নুর ইসলাম ১১ জন ও শামীম হোসেনের বাবা রুহুল আমিন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক দুটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসিকে এজাহার গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক (জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আদালতের) রোমানা আফরোজ।

দুটি মামলার আসামি হলেন- ঝিনাইদহের সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন, কালীগঞ্জ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা আনোয়ার হোসেন, সাবেক এসআই (বর্তমান পরিদর্শক) নিরব হোসেন, সাবেক এসআই আশরাফুল আলম, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্তমান পুলিশ সুপার) আজবাহার আলী শেখ, সাবেক এসআই নাসির হোসেন, সাবেক এসআই গাফ্ফার, সাবেক এসআই ইমরান হোসেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, সাবেক এমপির একান্ত সচিব আব্দুর রউফ, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, আলী হোসেন অপু, মহিদুল ইসলাম মন্টু ও চাপালী গ্রামের রাব্বি।

আবুজর গিফারীর বাবা নুর ইসলাম অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ জুম্মার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী লস্কারপাড়া থেকে দুইটা মোটরসাইকেলে ৪ জন সাদা পোশাকধারী জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। গিফারীর মা ছুটে আসলে তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে জোরপূর্বক সাদা পোশাকধারীরা নিয়ে যায়। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল যশোর সদরের লাউখালি গ্রামে শ্মশানঘাট এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় তার।

শামীম হোসেনের বাবা রুহুল আমিন অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালের ২৪ মার্চ বিকাল ৫টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের মাহতাব উদ্দিন কলেজের পূর্বপাশের গেটের সামনে থেকে দুই মোটরসাইকেলে থাকা সাদা পোশাকধারী ৪ জন তার ছেলেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল যশোর সদরের লাউখালি গ্রামে শ্মশানঘাট এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় তার।