• ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৯ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২২শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশকে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলার জোর দিলেন কোচ ডেভিড

admin
প্রকাশিত ২২ সেপ্টেম্বর, রবিবার, ২০২৪ ০২:২৬:০৫
বাংলাদেশকে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলার জোর দিলেন কোচ ডেভিড

মর্নিংসান ক্রীড়া ডেস্ক //


ভারত যে লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বের কোনো দলই চতুর্থ ইনিংসে ওই রানে যেতে পারেনি। সেখানে লাল বলের খেলায় পেছনের সারিতে থাকা বাংলাদেশের পক্ষে রান তাড়ায় বিশ্বরেকর্ড গড়া খোঁড়ার হিমালয় জয় করার মতোই। এই ধ্রুব সত্য জানার পর কারোই নাজমুল হোসেন শান্তদের কাছে জয় আশা করার কথা নয়। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টও ক্রিকেটারদের এমন কিছু করো বলে অযথা চাপে ফেলবে না। যদিও শনিবার সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলার ওপর জোর দিয়েছেন। পিচের সার্ফেস ব্যাটিং অনুকূলে থাকায় আশাও দেখাচ্ছেন তিনি। টাইগার এ কোচ মনে করেন, জুটি গড়ে পাল্লা দেওয়া সম্ভব হলে সাড়ে তিনশ রানের কাছাকাছি যাওয়া কঠিন কিছু না।

চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৫১৫ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে। নাজমুল হোসেন শান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। পঞ্চম উইকেটে তাঁর জুটির সঙ্গী সাকিব আল হাসান পাঁচ রানে অপরাজিত। এই অপরাজিত জুটি ভালো শুরু দিতে পারলে রানের ব্যবধান কমানো সম্ভব বলে মনে করেন হেম্প, ‘আমরা সত্যিই ভালো জায়গায় আছি। ভারত ১৪০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। প্রথম ইনিংসে আমরা ভালো বল করেছি। ব্যাটিংয়ে পারিনি। ম্যাচ শেষে আমরা আলোচনা করব, ব্যাটিং ও বোলিং অনুযায়ী আমরা কীভাবে ভালো করতে পারি। গতকাল দেখলাম, অশ্বিন কিছু বলে বাউন্স পেয়েছে, যেটা সিগনিফিকেন্ট। এখনও রান করার মতো অবস্থা আছে। আজও খেলার মতো সার্ফেস পাব আশা করি। ৩৬০ রান লাগে জিততে, দেখি কত দূর যাওয়া যায়।’

প্রথম ইনিংসে বোলিং ভালো করায় ভারতকে ৩৭৬ রানে অলআউট করা গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ের ধার কমে যাওয়া এবং বল পুরোনো হওয়ায় চার উইকেটে ২৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করতে সক্ষম হয় স্বাগতিক দল। জবাব দিতে নেমে সেট হয়ে আউট হয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলামের আউট মেনে নেওয়া কঠিন বলে মনে করেন কোচ।

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছি। শুরুতে ২০ থেকে ৩০ বল খেলে ফেললে একটা ধারণা পাওয়া যায়। ওখানে থেকে এগিয়ে যেতে হয়, বিশেষ করে ৩০ বা ৪০ রান করার পর। কঠিন সময় পার করার পর সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আমরা যেটা করতে পেরেছি পাকিস্তানে। আমরা এটা নিয়ে কথা চালিয়ে যাব এবং প্র্যাকটিসে উন্নতি করব। শ্রীলঙ্কা সিরিজে খেয়াল করলে দেখবেন, সেখানেও ভালো করতে পারিনি। অথচ ৪০ বা ৬০ বল খেলে ফেললে ১২০ বল খেলার টার্গেট করতে হয়।’ কোচের বিশ্বাস, মিডল অর্ডার ব্যাটাররা অন্তত এই ভুল করবেন না ব্যাকফুটে থাকা চেন্নাই টেস্টে।