মর্নিংসান অনলাইন //
কুমিল্লার বরুড়ায় মাদ্রাসা থেকে ভাগ্নি ও ভাতিজিকে নিয়ে ফেরার পথে এক নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মো. রুবেল (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রুবেল উপজেলার আড্ডা এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় অপর দুই অভিযুক্ত হলেন একই এলাকার মো. মানিক (৩৩) ও মো. বাপ্পি (২৫)। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল ওই নারীকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী উল্লেখ করেন, কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন ভুক্তভোগী ওই নারী। প্রতিদিন সকালে তার বোনের মেয়ে আর ভাইয়ের মেয়েকে নিজ এলাকার একটি মাদ্রাসায় দিয়ে আসতেন এবং ছুটির পর নিয়ে আসতেন। ঘটনার দিন তাদের নিয়ে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এ সময় রুবেল, বাপ্পি ও মানিক এসে তাকে নানা প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে পাশের একটি মাছের প্রজেক্টের মেশিন ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। এ সময় বাচ্চাদের পাশের একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে চকলেট দিয়ে বসিয়ে রাখে।
প্রায় ১ ঘণ্টা পালাক্রমে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখে অভিযুক্তরা এবং কাউকে জানালে ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
বরুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী নাজমুল হক জানান, এ বিষয়ে একটি গণধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একজন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রুবেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। অপর দুই আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।